Featured Posts

[Blogger][feat1]

কবুতরের খাবার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। Important discussion about pigeon food.

May 30, 2023

কবুতরের খাবার ও পানির প্রয়োজনীয়তা
কবুতরের যতো ধরনের রোগ হয় তার অধিকাংশয় রোগের সুত্রপাত হয় সাধারণত পানি ও খাবারের  মাধ্যেমে বিধায় খাবার ও পানি কবুতরের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কমাতে ব্যাপক  ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে ব্রিডিং কবুতরের জন্য অপরিসীম ভূমিকা পালন করে তা হলো সুষম খাদ্য যার কোন তুলনা নাই। এ খাদ্যে, ভিটামিন, খনিজ,  আমিষ, চর্বি, ও  শ্বেতসার ইত্যাদি থাকা  একান্ত প্রয়োজন। তাই খাবার গুলো পানিতে ঝুয়ে রোদে শুকিয়ে যথাযথ ভাবে পরিষ্কার করে কবুতরকে খেতে দিতে হয়। একটি কবুতর তার দেহের  আকার আকৃতি ও প্রয়োজন অনুসারে দৈনিক সাধারণত প্রায় ৩০-৫০ গ্রাম খাবার খেয়ে থাকে। কবুতর সাধারণত  সরিষা, যব, চাল,ধান, কলাই, ভুট্টা, খেশারী, মটর, গম, চিনা, কাউন, তিষি, সুর্য্যমুখীর বীজ ইত্যাদি শস্যদানা খেয়ে থাকে। এছাড়াও কবুতর গ্রিড খাওয়ালে তার দেহের বিশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা পালন করে। আপনার  কবুতরের যদি সঠিকভাবে  সুষম খাদ্য  সরবরাহ  করতে না পারে তাহলে  আপনি  যতোই ভিটামিন ক্যালসিয়াম মাসিক কোর্স করান না কেন তা থেকে আপনি আশা অনুরূপ ফল পাওয়ার কোন সম্ভবনা নেই। এছাড়াও আপনার খামারের কবুতরগুলো পরিষ্কার ও শুষ্ক পরিবেশ পাশাপাশি যদি  সঠিকভাবে সুষম ও খাদ্য সরবরাহ করতে পারেন তা হলে আশা করা যায় আপনার কবুতরগুলোর ৯০% রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবেন।

একটি কথা বলে রাখা ভাল যে কিছু খাবার আছে যা কবুতরকে  খাওয়ালে সবুজ পায়ানা  হতে পারে, তার মানে যে কবুতরটি রোগে আক্রান্ত হয়ে গেছে তা  নয়, একইভাবে কিচু খাবার আছে না খাওয়ানো  ভাল যেমন রেজা।

কবুতরের খাবার উপাদান সমূহ
কবুতরের খাবার  সাধরণত তিন ভাগে ভাগ করা যায় যথাঃ
১। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারঃ যেমন- গম, ধান চাল, বাজরা, ভুট্টা, চিনা, জব ইত্যাদি।
২। প্রেটিন জাতীয় খাবারঃ যেমন- ছোলা, মুশরি, খেশারি, মটর, কালী, মুগ, সয়াবিন, এংকর ইত্যাদি। (ব্রিড কবুতরের জন্য শতকারা পাঁচ ভাগ খাবার খাওয়ালে প্রোটিন এর ব্যালেন্স এর সহায়ক ভূমিকা পালন করে)।
৩। ফ্যাট/তেল জাতীয় খাবারঃ যেমন- সূর্যমুখীর বীজ, সরিষা, কুসুম ফুলের বীজ, তিল, কালিজিরা, বাদাম ইত্যাদি। (গীষ্মকালের তুলনার শীতকালে এই খাবার গুলো কবুতরের একটু বেশি খাওয়ালে তাদের  দেহের তাপমাত্রা ঠিক থাকে)।

কোন ধরনের খাবারে কি উপদান রয়েছে
১) কার্বোনেটড্রেট জাতীয় খাবার কবুতরের শরীলের  প্রধান ভূমিকা পালন করে যার দ্বারা কবুতর তার ক্ষুধার প্রয়োজন মিটানোর পাশাপাশি যথেষ্ট শক্তি পায় যার ফলে দ্রুত  ব্লাড সুগার সরবরাহ করে এবং কবুতরকে উড়তে সাহায্য করে।
২) প্রেটিন কবুতরের  সুস্থ সবল দেহ গঠনের বিশেষ  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা  পালন করে।
৩) ফ্যাট বা তেল জাতীয় খাবার কবুতরতে শীতকালে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন রাখতে সহায়তা করে।

কবুতরের খাবারের উপাদান, কবুতরের মিক্স খাদ্য তৈরি, কবুতরের সুষম খাদ্য,


মিক্স খাদ্য তৈরিতে বন্টন নিরুপন
গীষ্মকালে
৫৫-৬০% কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার
৪০-৪৫% প্রেটিন জাতীয় খাবার
৫% ফ্যাট/তেল জাতীয় খাবার

শীতকালে
৫০-৬০% কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার
৩০-৪০% প্রেটিন জাতীয় খাবার
১০% ফ্যাট/তেল জাতীয় খাবার

এভাবে পরিমান নির্ণয় করে খাবার তৈরি করে কবুতরকে খাওয়ানো যেতে পারে।

কবুতরের খাবার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। Important discussion about pigeon food. কবুতরের খাবার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। Important discussion about pigeon food. Reviewed by গল্প on May 30, 2023 Rating: 5

কবুতরের ডিম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। Some important information about pigeon eggs.

May 25, 2020

কবুতরের ডিম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

কবুতর কত বয়সে ডিম দেয়, কবুতরের ডিম, কবুতরের ডিম কত দিনে ফুটে,

.  কবুতর বাচ্চা থেকে বড় হয়ে সাধারণত ৬-৭ মাসের মধ্যে সর্বপ্রথম ডিম পাড়ে
. কবুতর নরমালি ০২ টি ডিম পারে তবে ০১ টি ডিমও দিতে পারে
. কবুতরের এটি ডিমের ওজন হয় ১৩-১৬ গ্রাম প্রায়
. কবুতর প্রথম ডিম দেয়ার পর যদি ডিমে তা দেয়া শুরু করে দেয় তাহলে বুঝা যায় সে আর দ্বিতীয় ডিম দিবে না আর যদি দ্বিতীয় ডিম সে দেয় তবে প্রথম ডিম দিয়ে তা না দিয়ে তার উপর দাড়িয়ে থাকে তারপর দ্বিতীয় ডিম দেয়ার পর একসাথে ডিমে তা দেয়া শুরু করে
. কবুতর নর ও মাদি দুই জনউ পালাবদল করে ডিমে তা দেয়
. কবুতরের ডিম ফুটতে সাধারণত ১৬-১৮ দিন সময় লাগে
. কবুতরের দুটি ডিম একসাথে ফুটে না একদিন পরে অন্যডিম ফুটে এজন্য বাচ্চা ছোট বড় হয়
. অনেকেই মনে করেন কবুতরের ডিমে হাত দিলে বাচ্চা ফুটে না এটা নিন্তাতই ভুল ধারণা

কিছু গুরুত্বপূরণ টিপস

কবুতর কত বয়সে ডিম দেয়, কবুতরের ডিম, কবুতরের ডিম কত দিনে ফুটে,

. কবুতর যদি তার অনুকূল পরিবেশ, ভাল বাসস্থান ও খাদ্য পায় তাহলে প্রায় অধিকাংশ জাতের  কবুতর প্রতি ৫০-৫৫ দিনের মধ্যে দুই বার ডিম দিয়ে থাকে
. প্রথম ডিম দেয়ার পর যদি কবুতরটি ঐই ডিমে তা না দিয়ে দাড়িয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে দ্বিতীয় দিম দিবে আর একটি ডিমেই যদি পুরোপুরি তা দেয়া শুরু করে দেয়া তাহলে সে আর সাধারণত দিম দেয় না তবে ব্যতিক্রমও হতে পারে
. কোন কারণ ব্যতিত ডিম ধরা বা নাড়াচাড়া না করাই উত্তম
.ডিমের নিচে সবসময় শুকনো রাখতে হবে এজন্য খড়কুটা ছাই অথবা নরম কাপড়, কাগজ দেয়া যেতে পারে
. আরেকটা মজার ব্যাটার হলো ডিম ফ্রিজে রেখে ৫-৭ দিন পর অন্য কবুতর দিয়ে বাচ্চা ফুটানো যেতে পারে এজন্য ডিম ফ্রিজ থেকে বের করারা পর ডিমের স্বাভাবিক তাপমাত্রা আসার পরই কবুতরের নিচে দিতে হয় তবে ডিম দেয়ার সাথে সাথে ডিম সংরক্ষণ করতে হবে
. কবুতরের ডিমে যদি বিষ্ঠা লেগে গিয়ে শক্ত হয়ে যায় তবে তা জোড় করে কখনো উঠাতে যাবেন না কারণ ডিমের খোড়া ভেঙ্গে যেতে পারে
. কবুতর সাধারণত ১৭-১৮ দিন ডিমে তা দিয়ে থাকে তাই ডিম বদল করলে খেয়াল রাখতে হবে যে সেই ডিম যেন ১৮ দিনে আগেই বাচ্চা ফুটে বেড় হয়
. ডিম থেকে বাচ্চার বের হলে ডিমের খোসা সরিয়ে ফেলতে হবে
. কবুতরের ক্যালসিয়ামের অভাবে যদি ডিমের  খোসা পাতলা হয় তবে মুরগির ডিমের খোসা গুড়ো করে কবুতরকে খাওয়ালে কবুতরের ডিমের খোসা মোটা হয়
কবুতরের ডিম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। Some important information about pigeon eggs. কবুতরের ডিম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। Some important information about pigeon eggs. Reviewed by গল্প on May 25, 2020 Rating: 5

কবুতরের নর মাদি চেনার উপায়

May 21, 2020

কবুতরের নর মাদি চেনার উপায়

কবুতরের নর মাদি চেনা সহজ কোন উপায় নেই যদি না কেউ খুব অভিজ্ঞ না হয় তার পক্ষে নর মাদি চেনা কোন উপায় নেই  আমি নিজে ১৬ বছর কবুতর পালন করি কিন্তু মাঝে মাঝে আমি নিজেই অনেক সময় দ্বিধা দন্ডের মধ্যে পড়ে যাই কোন নর কোনটা মাটি তবে সহজ কিছু উপায় আছে যা দেখলে সহজেই বুঝা যাবে কোন নর কোনটা মাদি কবুতর কিন্তু এর জন্য কবুতরের পিছনে অনেকটা সময় ব্যয় করতে হবে আসুন জানি সহজ কিছু উপায় নর মাদি চেনার উপায়

কবুতর নর মাদি চেনা, নর কবুতর কিভাবে চিনবো, মাদি কবুতর কিভাবে চিনবো,

. নর কবুতরের চেয়ে মাদী কবুতরের গলা তুলানামূলক ভাবে খাট হয়ে থাকে
. বিশেষ করে নর কবুতরের ঠোক মাদী কবুতরের চেয়ে একটু মোটা বড় হয়
. সবচেয়ে সহজ ভাবে চেনা যায় নর কবুততের গলার স্বর মোটা মাদী কবুতরে চারদিক দিয়ে ঘুরে ঘুরে জারো জোরে ডাকতে থাকে, অপরপক্ষে মাদি কবুতর তখন তার ডাক শুনে আস্তে আস্তে চিক সুরে ডাকে এবং মাথা নিচের দেকে নামিয়ে বার বার সম্মতি প্রকার করার মত ভঙ্গি করে
. আরেকটি সহজ পদ্ধতি হল কবুতর যখন ব্রিডিং মুডে থাকে নর কবুতর খোপের ভিতর মসে মাদি কবুতর পায়ের কাছে নিচু হয়ে বসে এক প্রকার হু হু করে গম্ভীর ভাবে শব্দ করতে থাকে
. নর মাদি কবুতর চিনার আরেকটি সহজ পদ্ধতি হলো, যখন ডিম দেবার সময় হয় নর কবুতর বাইরে থেকে খড় কুঠো নিয়ে বাসায় যায় এবং মাদী কবুতর সেই খড় কুঠো দিয়ে খোপের মধ্যে বসে থাকে বাসা তৈরি করে
. সবচেয়ে সহজ আরেকটি উপায় হলো নর এবং মাদী কবুতর চেনার তা হলো যখন তারা মাস্তি করে, তখন মাদী কবুতর নীচে থাকে এবং নর কবুতর মাদী কবুতরের পিঠের উপরে থাকে
. মাদী কবুতর নর কবুতরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি পরিস্কার থাকে
. নর কবুতর সাধারণত আক্রামান্ত্মক বেশি হয়  মানে বেশি মারামারি বা ঠোকরা-ঠোকরি করে
. অপরিচিত কোন কবুতরের উপস্থিত পেলে  নর কবুতরটি প্রথকেম তার দিকে এগিয়ে গিয়ে আক্রমণ করে
১০. নর কবুতরের চোখ চ্যপ্টাকৃতি আর মাদী কবুতরের চোখ বৃত্তাকার হয়ে প্রকৃতির হয়

কবুতরের নর মাদি চেনার উপায় কবুতরের নর মাদি চেনার উপায় Reviewed by গল্প on May 21, 2020 Rating: 5
Powered by Blogger.